খাঁন মোঃ আঃ মজিদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব কিশোর গ্যাং দিয়ে অপহরণ, ছিনতাই ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে একটি আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী। একটি সুত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের সুইহারী চৌরঙ্গী মোড়ে থেকে রাশেদ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল বন্ধক রাখার কথা বলে রামনগর বড় মামুনের মোড় এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেনকে বাঞ্ছারাম ব্রিজে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা শামীমকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাউজিং শপিং মলের ভিতরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শামীম এর কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়ে শামীমকে যখন অবস্থায় সেখানেই ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শামীম বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় গত ১৩ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ১৪ ডিসেম্বর মামলা রুজু করা হয়। মামা আসামিরা হলেন- রামনগর মোড়ের মো. বাবুর ছেলে রাশেদ, কাশীপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, মালদা উটি চকবাজারের বাবুল চক্রবর্তী ছেলে অভিজিৎ অভি, অশোক গুপ্তের ছেলে অনিক গুপ্ত, মিশন রোডের সেরু, ৮নং নিউটাউনের সাইদুল ইসলামের ছেলে দিপু ও মিশন রোড সাগর এলাকার আজগার আলী ছেলে মো. ইসলাম। এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. শামীম হোসেন এর সাথে কথা বলে তিনি জানান, আমার মামলার ২নং আসামি তার স্ত্রী লাবনীকে বাদী করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে সন্ত্রাসী বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।একটি সূত্র জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়তই লাবনী ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে দেখা করতে তাদের বাসায় আসলেও মামুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলা কিংবা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কারণ এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার মামলা করার ভয় দেখান।



















