close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে সম্মান জানান।
রাষ্ট্রপতির পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনিও কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং পরে শহীদ মিনার ত্যাগ করেন।
এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্যান্য বিচারপতিরা। তাঁদের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরাও। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানগণ একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, আনসার মহাপরিচালক, ডিজিএফআই মহাপরিচালক, বিজিবি মহাপরিচালক, র্যাব মহাপরিচালক এবং এনএসআই মহাপরিচালকও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্যরাও শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করেন।
ভাষা শহীদদের স্মরণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। শহীদ মিনার চত্বরে প্রজ্জ্বলিত হয় মোমবাতি, চলে গান-কবিতা ও স্মৃতিচারণা। জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ সব ভাষা শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা।
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















