তিনি জানতেন, আগের বলের দুর্দান্ত ছক্কাটা এখন আর অর্থবহ নয়। ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংসটাও এখন পরাজয়ের গল্পে ঠাঁই পাওয়া এক ম্লান স্মৃতি।
এই মোড় ঘোরানো মুহূর্তে নাম লেখালেন মোস্তাফিজুর রহমান। পুরো ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, ম্যাচের শেষ অঙ্কে এসে নিজের ট্রেডমার্ক কাটারে তুলে নিলেন অমূল্য এক উইকেট। যেন পুরো ম্যাচের অনিশ্চয়তাকে এক মুহূর্তে ঘুঁচিয়ে দিলেন ‘দ্য ফিজ’।
তবে কৃতিত্ব শুধু তাঁর একার নয়। তানভির ইসলামের চাপ সৃষ্টিকারী স্পেল, তানজিম সাকিবের আগুনঝরা বোলিং—সব মিলিয়েই এই জয় সম্ভব হয়েছে।
এ জয় বাংলাদেশের জন্য কতোটা অমূল্য? তা বোঝা যায় পরিসংখ্যানে। টানা ৭ মাস আর ৭ ম্যাচ পর এসেছে আন্তর্জাতিক জয়ের স্বাদ।
১৬ রানের এই রুদ্ধশ্বাস জয় শুধু আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়নি, সিরিজে টিকে থাকার রসদও জুগিয়েছে। এখন তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা। অর্থাৎ সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে, যা হবে পাল্লেকেলেতে।