রঙিন পর্দার ঝলমলে জগৎ ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জীবন কাটানোর আকস্মিক ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ঢালিউড অভিনেত্রী মৌ খান। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার আগেই তার এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি ব্যক্তিগত টাইমলাইন থেকে উধাও হয়ে যায়। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন বা পোস্টটি মুছে দিলেন, সে বিষয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিনেত্রী কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দেননি।
শুক্রবার দেওয়া ওই পোস্টে অভিনেত্রী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি লেখেন, চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে তিনি জীবনের বাকি পথ 'আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী, নামাজ-কুরআন ও দ্বীনের আলোকে' চলতে চান এবং রাসূল (স.)-এর সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে চলার অঙ্গীকার করেন। তার এই ঘোষণার ফলে চলচ্চিত্র অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
তবে এই ঘোষণার পর পরই তার অসমাপ্ত কাজগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি কথা বলেন। তিনি নির্মাতাদের প্রতি অনুরোধ জানান, তাদের নিজ উদ্যোগে যেন কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। মৌ খান উল্লেখ করেন, কেবল তার অংশের কাজটুকু শেষ করে দিতে রাজি আছেন, তবে ভবিষ্যতে অভিনয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।
ধর্মীয় পথে চলার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে তিনি ‘হালাল উপায়ে জীবিকা অর্জনের’ পথ বেছে নেওয়ার কথা জানান। তিনি পরিকল্পনা করেন, ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। সবশেষে, তিনি অনুরাগীদের কাছে আল্লাহর পথে দৃঢ় থাকার জন্য দোয়াও কামনা করেন। কিন্তু এই দৃঢ়তার ঘোষণার ঠিক একদিন পরই পোস্টটি ডিলিট হয়ে যাওয়ায় তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন? তবে কি কোনো চাপের মুখে তাকে পোস্টটি সরাতে হলো, নাকি এটি তার দ্রুত আবেগের বহিঃপ্রকাশ ছিল—তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, মৌ খানের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর তাকে ‘বান্ধব’ এবং ‘অমানুষ হলো মানুষ’-এর মতো সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা যায়। তার এই আকস্মিক ঘোষণা ও পরে পোস্ট ডিলিট করার ঘটনাটি ঢালিউডে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।



















