close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নুসরাত ফারিয়ার গ্রে প্তার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন উপদেষ্টা ফারুকী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলা ও সাম্পান বাইচ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারে যুক্ত করার ঘোষণা দিলেও, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার ইস্যুতে মুখ খুললেন না উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী..

চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে নতুন সংস্কৃতি ক্যালেন্ডারের ঘোষণা দিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলাসাম্পান বাইচ এবার থেকে সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনায় স্থান পাবে বলে জানালেন তিনি। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার ইস্যুতে মুখ খুলতে রাজি হননি ফারুকী। বিষয়টি সরাসরি এড়িয়ে যান তিনি।

১৯ মে সোমবার দুপুরে এই প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ফারুকী বলেন, “আমাদের কালচারাল হেরিটেজ, ফেস্টিভাল নিয়ে একটি ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে। সেখানে জব্বারের বলি খেলা ও সাম্পান বাইচকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

তিনি আরও জানান, “শিল্পকলা একাডেমি এই তালিকা প্রস্তুত করছে। এরপর এই ইভেন্টগুলো কালচারাল ক্যালেন্ডারের মধ্যে ঢুকবে এবং রাজধানী ঢাকা থেকে কীভাবে এই ইভেন্টগুলোকে আরও ভালোভাবে ফেসিলিটেট করা যায়, সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে।”

এসময় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন ফারুকী। তিনি বলেন, “জব্বারের বলি খেলা দেশের সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। চট্টগ্রামের নাম শুনলেই মানুষের মনে এই ঐতিহ্যবাহী খেলার কথা ভেসে আসে। সাম্পান বাইচও চট্টগ্রামের নদীবন্দর সংস্কৃতির একটি নিদর্শন, যা প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসছে।”

তবে সবকিছু ছাপিয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি ছিল নুসরাত ফারিয়ার সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার ইস্যু নিয়ে উপদেষ্টার মতামতের দিকে। স্পষ্ট প্রশ্ন করা হলেও, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “আমাদের প্রেস কনফারেন্সের নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা আছে। আমরা এই লিমিটের মধ্যে থাকি।”

সাংবাদিক মহলে এই অবস্থান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন সংস্কৃতি উপদেষ্টা হিসেবে দেশের আলোচিত তারকা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত ছিল।

এর আগে সকালেই তিনি চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বিষয়ে আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে নতুনভাবে মূল্যায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। তবে বিতর্কিত ও সংবেদনশীল ইস্যুতে উপদেষ্টার নীরবতা অনেককেই ভাবিয়ে তুলছে।

No comments found