রিপোর্ট মেহেদী হাসান: নরসিংদীতে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হলেও, পরে তার আর কোনো হদিস মেলেনি! উদ্ধার হওয়া মাদক আদালতে জমা পড়ার কথা থাকলেও, বরং অভিযোগ উঠেছে—সেই গাঁজা বিক্রি করে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা। আর সেই অভিযোগই এবার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, এই ঘটনায় গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর সেখানে প্রাথমিকভাবে ছয় পুলিশ সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহ। প্রতিবেদনে নাম এসেছে— ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন, মালখানার ইনচার্জ এসআই শামিনুর রহমান এবং আরও তিন পুলিশ সদস্যের।
তদন্তে উঠে আসে, গত ৪ মার্চ শিবপুর উপজেলার একটি লটকন বাগান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। কিন্তু সেই গাঁজা আদালতের মালখানায় জমা না দিয়ে গোপনে বিক্রি করে দেওয়া হয় মাদক চক্রের কাছে—এমনটাই রয়েছে প্রতিবেদনে।
ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই শুরু হয় তোলপাড়। পরে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। পরে তাদের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদনটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



















