শনিবার (২১ জুন) দুপুর বারোটায় উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে চুরি, মাদক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সম্প্রতি থানা হেফাজতে থাকা প্রশ্নপত্র নষ্ট ও ফাঁসের অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী এই মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় 'প্রশ্নফাঁস বন্ধ কর শিক্ষায় দুর্নীতি চলবে না' ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানায় তারা।
উল্লেখ্য রাজশাহী বোর্ড থেকে পাঠানো ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের জন্য সিলগালা করা ট্রাঙ্কের দুটি তালা ভেঙে ট্রাঙ্কের ভেতরে থাকা ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেট ছেঁড়া অবস্থায় ধামইরহাট থানা হাজতের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ট্রাঙ্কের বাহিরে সিলগালা অবস্থায় কোন তালা ও চাবি লাগানো ছিল না বলে জানা গেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এই ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা না পড়লে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এবং থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রশ্নপত্র কিভাবে নষ্ট ও ফাঁস হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এর জবাব দিতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করে তারা জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন। সেইসাথে দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়া ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে যোগ্য ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার বেপারে জোর দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা এনসিপির সমন্বয়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান , নুর আলম, ধামইরহাটের ছাত্র প্রতিনিধি রিফাতুল হাসান চৌধুরী সৈকত, আলমগীর হোসেন আরাফ, ধামইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিফ আরাফাত অভি, মুরাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা উমর ফারুক রোমন, পৌর ছাত্রদল নেতা মওদুদ আহম্মেদ, ফয়সল আহমেদ, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সজীব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ধামইরহাট শাখার সভাপতি কাওসার আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ধামইরহাট উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেন, বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ, শিহাব, শামিম, সাফি আরমান, তামিম ও হাসিব প্রমুখ।
মানববন্ধন পালন শেষে র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধামইরহাট থানা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে এই মানববন্ধন শেষ হয়।