সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সূরক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্যাকেজে জিওবির অর্থায়নে সর্বমোট ১কোটি ৫৬লক্ষ ৯৬২ টাকা মূল্যে নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজের দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী বোয়ালিয়া এলাকার মেসার্স ফারিভা অটো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের মেইন গেটের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। মেইন গেটসহ ঠিকাদারের দায়িত্বে নির্মাণ করা হচ্ছে বসার ৩০টি ঢালাই বেঞ্চ, দিঘীর পার্শে ২টি ঘাট, দিঘীর চারদিকে লাইটিং সিষ্টেম ও মেইন গেটের সঙ্গে নিরাপত্তার তাগিদে তৈরী করা হচ্ছে ১টি চৌকি। সবকিছু ঠিক থাকলেও মেইন গেটের ১২টি বিম ঢালায় কাজে পাথরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ইটের খোয়া এবং ১৬ মিলি রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মিলি রড। পাশাপাশি ৩০টি বেঞ্চ তৈরীতে করা হয়েছে চরম অনিয়ম। বারবার সঠিক ভাবে কাজ করার কথা স্থানীয়রা জানালেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন কারো কথায় কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় আক্তার হোসাইন চৌধুরী সিজন জানান, আমি বারবার কাজের অনিয়ম সর্ম্পকে বললে তারা কোন কথায় শোনেনি। বারবার নিষেধ করার কারণে উল্টো আমার নামে মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। আমি ১৬ মিলি রডের বদলে ১২ মিলি রড দিয়ে কাজের কথা জানতে চাইলে তারা আমাকে বলেন বাশের কুঞ্চি দিয়ে কাজ করব আপনার কি সমস্য। আমরা স্থানীয় জনগণ নির্মাণ কাজের গুনগত মান ভালো আশা করছি।
বনবিট কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, আমাদের বিট এলাকায় যে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে সেটা যদি শিডিউল অনুযায়ী না করা হয়। তাহলে আমারা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা ইতিপূর্বে উপর মহলে কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের কথা জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সহযোগী মো. পরশ জানান, আমাদের কাজের অনিয়ম হলে তা স্থানীয়দের নিয়ে বসে আলোচনা করে সমাধান করা উচিৎ। কিন্তু স্থানীয়রা এসে আমাদের লোকজনদের মারধর করেছে এটা কখনো আমাদের কারোর জন্য ভালো বিষয় না। আমরা আমাদের দিক থেকে সঠিক কাজ করছি। আপাতত উপর মহলে জানানো হয়েছে তাদের পক্ষে থেকে নির্দেশনা আসলে কাজ আবারো শুরু করা হবে।