নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ঘোষিত বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মে, সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার 'তাহমিনা আক্তার' চাল বিতরণের শুভ উদ্ভোধন করেন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি অফিসার মোতাচ্ছিমবিল্লাহ ফারুকী ও উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান তুহিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল,উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল আলম বকুল, উপজেলা তাতীদলের আহবায়ক মো. আবু তাহের,করিমগঞ্জ উপজেলা জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি মা. নাজিম উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যবৃন্দ, সকল ওয়ার্ড ইউপি সদস্যবৃন্দ, বি.এন.পি,জামাতে ইসলামিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন ' আমি পরিষদের সকল সদস্য,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অংশীজনদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতায় সঠিকভাবে টোকেন বিতরণ ও সরকারের দেয়া বিশেষ ভিজিএপ (১০ কেজি চাল) বিতরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে আসছি। কোন রকম অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিয়ে জনগণের একজন সেবক হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি সর্বদা সেই চেষ্টা করি।'
চাল গ্রহণ করতে আসা একাধিক উপকারভোগী জানান, ঈদের আগে এই সহায়তা তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে তারা ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এ ইউনিয়নে মোট ৩৩৯৯টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে দুই দিন যাবত সম্পন্ন হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।



















