close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল: কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ৭ নেতাকর্মী, শহরে থামল ত্রাস

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং শ্রমিক লীগে
কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরাও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হঠাৎ একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। মিছিল চলাকালীন তারা বিভিন্ন যানবাহনে হামলা চালায় এবং শহরে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সূচনা করে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমান শ্রমিক লীগ নেতা মিজান প্রকাশ বার্মায়া মিজান। তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে ত্রাস সৃষ্টি করে। শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, এসআই জাকির হোসেন সদর মডেল থানায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন, যার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান আসামি। এর পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করেছে। পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নাম তদন্তের স্বার্থে আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।” এই ঘটনার পর কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কঠোর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং তীব্র নজরদারি বাড়িয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে যেকোনো দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানায়। এদিকে, কক্সবাজারে এসব ঘটনার মধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমগ্র শহরজুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, এবং স্থানীয় জনগণ পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছে। সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি: কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগত সংকটপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অস্থিরতা মোকাবিলা করতে তারা যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। বিশেষত, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানটি কক্সবাজারের জনগণের মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক বার্তা প্রদান করেছে—যে কোনো অরাজকতা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ্য করা হবে না।
Tidak ada komentar yang ditemukan