close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়লেন আব্দুল হামিদ: ইউনূস সরকারের ব্যর্থতার পর্দা ফাঁস, ঘূ'র্ণিপাকে বিএনপি!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যখন আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ড. ইউনূসকে ঘেরাও করা, তখন হঠাৎ দৃষ্টি ঘুরে গেল শাহবাগে! আব্দুল হামিদের নীরব প্রস্থান এবং বিএনপির ওপর চলা আঘাত কি এক নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত? এই প্রতিবেদন তুলে ধরছে ইউনূস সর..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলমান অস্থিরতার মাঝে হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। নির্বিঘ্নে তাঁর দেশত্যাগ যেন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—এই মুহূর্তে সরকার ঠিক কী করছে? অথচ এই নাটকীয় প্রস্থানের পেছনে যিনি নীরবে কুশীলব হয়ে রয়েছেন, তিনি ড. ইউনূস—বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রক হিসেবে যিনি কাজ করছেন এনসিপি ও জামায়াতকে পাশে নিয়ে।

প্রশ্ন উঠছে—যেখানে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল যমুনার তীরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে, সেখান থেকে কীভাবে তা মোড় নিল শাহবাগ অভিমুখে? কোথায় গেল সেই জবাবদিহির দাবি, যার মূল লক্ষ্য ছিলেন ইউনূস নিজেই? কেন এই আন্দোলন রূপ নিল হাসপাতাল ঘেরাওয়ের নাটকে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হলো সাধারণ মানুষ?

ড. ইউনূস এবং তার সরকার আজও পরিষ্কারভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছে না আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে। অথচ আব্দুল হামিদের মতো বিতর্কিত ব্যক্তি, যিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, তিনি যেন কোনো বাধা ছাড়াই বিদেশে পাড়ি জমিয়ে গেলেন।

এই সুযোগে আবার নতুন করে দৃষ্টিকে সরিয়ে আনা হলো বিএনপির দিকে। প্রশ্ন উঠছে—কেন বিএনপি শাহবাগে যাচ্ছে না? ছাত্রদল কেন পতেঙ্গায় সক্রিয় নয়? যেন সব দায় এখন বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই প্রহসনের প্রকৃত লাভবান হলো ইউনূস সরকার এবং এনসিপি, যারা ধীরে ধীরে আবারও রাজনীতির মেরুকরণে নিজেদের শক্ত অবস্থানে বসাতে চাইছে।

বিএনপি করিডোর ইস্যুতে তার শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবুও সেই অবস্থানকে বিকৃত করে, জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপিকেই আক্রমণের শিকার করা হচ্ছে। এমনকি সরকারে না থেকেও বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হচ্ছে—যা সরাসরি প্রশ্ন তোলে এই অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তব সক্ষমতা নিয়ে।

 রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতেই কি দৃষ্টি ভিন্নখাতে?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ড. ইউনূস যেন একটি নির্দিষ্ট কৌশলে এগোচ্ছেন। আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে দায়মুক্ত করে বড় নেতাদের দেশত্যাগে সহযোগিতা, আর সেই ফাঁকে বিএনপিকে নানাভাবে কোণঠাসা করে ফেলা—এই দুই পথে তারা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে।

এই সমগ্র পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, গণতন্ত্রের নামে জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার এই অপকৌশল। রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগ নামিয়ে এনে একটি নতুন ফ্যাসিস্ট মডেল গড়ে তোলার প্রচেষ্টাই যেন শুরু হয়েছে। আর এই প্রচেষ্টার নেতৃত্বে রয়েছে ইউনূস, এনসিপি ও জামায়াত—তিনটি পক্ষই যাদের অতীতে জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ইতিহাস রয়েছে।

🔍 পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে?

যদি এই খেলা চলতেই থাকে, বিএনপিকে চেপে ধরা হয় অথচ মূল ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড় পায়, তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও হিংস্র ও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। জনগণের স্বার্থ যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে জবাবদিহির আশাও নেই।

 

বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটে স্পষ্ট, একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি যদি জবাব না দেয়, তাহলে তাকে দুর্বল বলা হয়। আর জবাব দিলেই তা 'সাজানো ফাঁদে' পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই ফাঁদ পেতেছে ইউনূস সরকার, এনসিপি এবং জামায়াত—যারা চাইছে এক নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে মুখে, কিন্তু বাস্তবে থাকবে শুধুই একতরফা নিয়ন্ত্রণ।

Ingen kommentarer fundet