আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম 'ঠিকানা'-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, '২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাকালীন সময়ে নির্বাচনকালীন সরকারে কোনো দায়িত্ব পালন করা উচিত নয়। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আমি সরকার থেকে সরে যাব।' তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনীতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিভিন্ন মহলের সক্রিয়তা দেখা যায়। একটি মহল জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার জন্য তোড়জোড় করছে। এই দলটিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আনতে চায় তারা। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের যেসব নেতার ইমেজ ভালো, তাদেরও জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে আনার পরিকল্পনা চলছে।
আসিফ মাহমুদের এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তার এই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এটি একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা যেতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্কিত আলোচনা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে নানা মতামত রয়েছে। আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের ঘোষণা সেই আলোচনাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।
তবে, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে তার মন্তব্য সরকার এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। জাতীয় পার্টির গতিশীলতা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের অবস্থান নিয়ে নতুন করে ব্যাপক আলোচনা শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসিফ মাহমুদের এই সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেমন প্রভাব ফেলবে তা এখন দেখার বিষয়।