close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচন প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ ‘জাতি এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিকে যাচ্ছে’: প্রধান উপদেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
****

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। কানাডীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডার সাত সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান।

সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কানাডীয় প্রতিনিধিদলকে জানান, তারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি ‘এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে’—যা একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে”। এর মধ্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য ও চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দীর্ঘসূত্রিতা এবং এর মানবিক প্রভাব তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান হলো তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন—এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে ও বড় হচ্ছে। কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী বা তাদের ভবিষ্যৎ কী। তিনি জানান, এই জনগোষ্ঠী এখন ‘হতাশ ও ক্ষুব্ধ’। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

কানাডীয় প্রতিনিধিদলের নেতা সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তাঁর বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়”। তিনি মনে করেন, “বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া”। সিনেটর আতাউল্লাহজান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ড. ইউনূসের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ, সামির জুবেরি, মাহমুদা খান (হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের সিইও), মাসুম মাহবুব, আহমদ আতিয়া এবং উসামা খান (ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও)।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator