প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বিস্ফোরক মন্তব্য, নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো সাংগঠনিক শক্তি বর্তমানে আওয়ামী লীগের হাতে নেই, যা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের একটি মন্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন সম্ভবত সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম তাঁর মন্তব্যের সপক্ষে একাধিক যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাঁর মূল বক্তব্য হলো, নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর বা বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার মতো শক্তি বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাতে অবশিষ্ট নেই। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের তৃণমূল হয় ভেঙে গেছে, নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোতে মিশে গেছে।”
প্রেস সচিবের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দলটি এখন কার্যত কিছু "ভাড়াটে টোকাই-শ্রেণির সমস্যা সৃষ্টিকারী"-র ওপর নির্ভরশীল। এদের কার্যক্রম পরিত্যক্ত বাসে আগুন ধরানো, খুবই সংক্ষিপ্ত ঝটিকা মিছিল করা, অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাঁর কথায়, এই ধরনের কর্মকাণ্ড একটি নির্বাচনকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করার জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “দলটি এখন মূলত ফেসবুক-নির্ভর একটি প্রতিবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে, যার মাঠে কোনো উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক ভিত্তি নেই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে বিশাল তৃণমূল নেটওয়ার্কের যে দাবি করে আসছিল, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তা অত্যন্ত সীমিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর এই বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বড় ধরনের রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা কমে আসায় নির্বাচন অবাধ ও শান্তিময় হবে।



















