নিয়োগে সুপারিশ বিতর্ক: নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসুদ
ওয়াসার আউটসোর্সিং নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সুপারিশের অভিযোগে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া কিছু নথি ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন এটি নিয়মবহির্ভূত, আবার কেউ বলছেন এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ।
এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
কী বললেন হান্নান মাসুদ?
হান্নান মাসুদ তার পোস্টে স্পষ্ট করেন যে, আউটসোর্সিং নিয়োগের জন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা নেওয়া হয় না। এটি একটি স্বল্পমেয়াদি চাকরি, যা মূলত সংকটকালে জনবল ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে মিডিয়া ট্রায়াল এবং ব্যক্তিগত চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, "নাহিদ ইসলাম ভাই এবং নুসরাত তাবাস্সুম আপুকে আমি অন্তত ৪ বছর ধরে চিনি। উনাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিছু মানুষ শুধু চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে দৌড়াচ্ছে, কিন্তু কান কানের জায়গায় আছে কি না, তা যাচাই করছে না।"
‘মিডিয়া ট্রায়ালের ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছে’
এরপর আরও একটি পোস্টে হান্নান মাসুদ বলেন, "মিডিয়া ট্রায়াল চলছেই... আর সেই ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছে।" তিনি দাবি করেন, যারা এখন এই বিতর্কে জড়াচ্ছেন, ভবিষ্যতে সংকটের সময়ে তারাই সঠিক ব্যক্তিদের পাশে পাবেন না। বরং নিজেদের রক্ষা করতে অন্য কারো ছায়ায় আশ্রয় নেবেন।
প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
এই ঘটনায় নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ বলছেন, এটি অনৈতিক সুপারিশ, যা স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আবার অনেকে বলছেন, আউটসোর্সিং পদ্ধতি এমনই, যেখানে সুপারিশ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে বিতর্ক যাই হোক, নাহিদ ইসলাম ও নুসরাত তাবাস্সুমকে নিয়ে আলোচনা এখনও থামেনি, বরং ক্রমেই তা নতুন মাত্রা পাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনা কীভাবে মোড় নেয় এবং কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় কি না।