close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নিজেরাই ফ্যা সি স্ট হয়ে উঠছি কিনা, খেয়াল রাখতে হবে’ : মির্জা আব্বাস..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও নিজের আচরণে যেন সেই ফ্যাসিবাদ না ফিরে আসে—এমন সতর্কবার্তা দিলেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। পাশাপাশি সরকারের গোপন চুক্তি ও মানবিক করিডর নিয়ে দিলেন কড়া মন্তব্..

রাজনৈতিক অঙ্গনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী অবস্থান নেওয়া সত্ত্বেও নিজেদের কর্মকাণ্ডে যেন সেই একই ফ্যাসিবাদের ছায়া না পড়ে—এমন গভীর আত্মসমালোচনার বার্তা দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দলের আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে তিনি বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, প্রতিবাদ করি। কিন্তু বলতে বলতে নিজেদের মধ্যেই যদি সেই ফ্যাসিবাদ ঢুকে পড়ে, তবে সেটা হবে ভয়াবহ বিপর্যয়। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে—আমরা যেন নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে না উঠি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন এক সময় পার করছি, যখন দেশের জনগণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির বিষয়ে কিছুই জানে না। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এমন অনেক চুক্তি হয়েছে, যা গোপনে করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে, জনমত উপেক্ষা করে, ক্ষমতার চাপে এসব চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”

 মানবিক করিডর ইস্যুতে কড়া অবস্থান

সম্প্রতি আলোচিত ‘মানবিক করিডর’ ইস্যু নিয়েও মির্জা আব্বাস মুখ খুলেছেন। তার মতে, এই ধরনের করিডর সুবিধার চেয়ে দেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

“মানবিক করিডর দিতে গিয়ে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা কোনো খেলার বিষয় নয়। আমাদের দেশেও যদি এই ধরনের করিডর বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এর চরম মূল্য দিতে হতে পারে। দেশের জনগণ যে কিছু চায় না, সরকার তা জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না,”—বলেছেন তিনি।

তিনি সরাসরি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “যে করিডর দেশের উন্নয়ন ও জনস্বার্থে না, সেটি জনগণ চায় না। জনগণকে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তার ফল ভয়াবহ হবে।”

রাজনীতিতে জনগণের ভূমিকা ছাড়া কিছুই নয়

মির্জা আব্বাস এ সময় দেশের রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা কোনো রাজা বা সম্রাটের শাসনে বসবাস করি না। এটা জনগণের দেশ, তাদের মতামতই চূড়ান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে, গোপনে কিছু করার চেষ্টা হলে জনগণ তা রুখে দেবে।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। তাই সব দলকে নিয়েই আলোচনার মাধ্যমে আগাতে হবে।”


বিশ্লেষণ:

মির্জা আব্বাসের এই বক্তব্য দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও গণতান্ত্রিক অবস্থার প্রতি এক কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। যেখানে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে এমন বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে মানবিক করিডর ও গোপন চুক্তির ইস্যুতে তার বক্তব্য নতুন করে আলোচনা তৈরি করতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator