নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের মৌদাম বাজারে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হলো বৃহৎ কুরবানির পশুর হাট। স্থানীয় ও আশপাশের এলাকা থেকে আসা ব্যাপারী এবং ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল গোটা এলাকা। ছোট-বড় নানা জাতের গরু ও ছাগলসহ অন্যান্য কুরবানির পশু কেনাবেচা হয়েছে ব্যাপকভাবে। হাটটি মূলত ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিলনমেলা হিসেবে পরিচিত।
হাটের ইজারাদার হাজী আব্দুর রেজ্জাক তালুকদার জানান, 'ঈদুল আজহা সামনে রেখে আমাদের হাটে পশুর সরবরাহ ও বিক্রি উভয়ই বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।' তিনি আরও বলেন, 'আগামী বুধবার (৪ জুন) এবং শুক্রবার (৬ জুন) পুনরায় হাট বসবে, যেখানে আরও বেশি পশু আসার সম্ভাবনা রয়েছে।'
বাজারের এক তরুণ ক্রেতা, মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, 'আমি এখানে প্রথমবার এসেছি। পশুর দাম কিছুটা বেশি হলেও মান ভালো।' অন্যদিকে, বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'এবার পশুর দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে বিক্রি মোটামুটি ভালো হচ্ছে।'
স্থানীয় প্রশাসন ও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে স্থানীয় প্রশাসন হাটের প্রবেশদ্বার ও পার্কিং এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
এ হাটের অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। স্থানীয় অর্থনীতিতে এটি বিশেষ অবদান রাখে। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে আশপাশের দোকানপাটেও বেচাকেনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন প্রকারের পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের সমাহার ঘটে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি যোগ করে।
সমাজ-সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এই হাট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে, কেননা এখানে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ হয়।
ভবিষ্যতে এই হাট আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে, পশুর সঠিকভাবে পরিচর্যা ও সুরক্ষার বিষয়েও নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।



















