এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কাঠমান্ডুতে হবে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ দুটি।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ইউরোপের একটি দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চিন্তাভাবনা করলেও শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে ইউরোপ নয়, প্রতিবেশী নেপালের সঙ্গেই মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধি দল। হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, মিতুল মারমা ও শমিত শোমদের জন্য এটি হবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের আগে একটি বড় প্রস্তুতির সুযোগ।
এই দুটি প্রীতি ম্যাচের ব্যাপারে আজ (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএনএফএ)। তারা জানিয়েছে, ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর। স্থান নির্ধারিত হয়েছে কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক দশরথ স্টেডিয়ামে।
দুই দলের মধ্যে অতীত পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত ২৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। এর মধ্যে ১৪ বার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ৯ বার হেরেছে এবং ৫ ম্যাচ ড্র হয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায়, লড়াই হবে সমানে সমান এবং প্রস্তুতির জন্য এটি হবে কার্যকর।
বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এ ম্যাচকে দেখছেন কৌশলগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার বড় সুযোগ হিসেবে। কারণ, আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে জয় পেতে হলে দলের মানসিকতা, ফিটনেস ও ট্যাকটিকস সবকিছু ঝালিয়ে নেওয়ার দরকার।
বাংলাদেশ এরই মধ্যে বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। ২ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে। সমান ১ পয়েন্ট রয়েছে ভারতেরও। অন্যদিকে হংকং ও সিঙ্গাপুর ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে অবস্থান করছে গ্রুপের শীর্ষে।
অন্যদিকে, নেপালও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবেই এই প্রীতি ম্যাচগুলো খেলবে। দুই দলের জন্যই ম্যাচ দুটি হবে আত্মবিশ্বাস গড়ার এবং দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার মঞ্চ।
বাংলাদেশ দলে এ ম্যাচে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে। বিশেষ করে বিদেশে খেলা ফুটবলারদের পারফর্মেন্স এবং স্থানীয় লিগে ভালো করা তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাই করার জন্যই মূলত এই ম্যাচগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ কাবরেরা।
বাংলাদেশ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি হবে একটি নতুন প্রত্যাশার সূচনা। কারণ, এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হলে এখন প্রতিটি প্রস্তুতি ও ম্যাচে সর্বোচ্চ দিতে হবে জামাল-হামজাদের।