close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম. আকাবা বাংলাদেশে, তরুণ প্রজন্মকে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথে পথপ্র


ঢাকায় আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম. আকাবা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবেন
বাংলাদেশ সফরে আসছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মহাকাশচারী, নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম. আকাবা। তার এই সফর বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি করবে। এটি নাসার প্রধান নভোচারীর প্রথম বাংলাদেশ সফর, এবং এটি বাংলাদেশে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সফরের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। জানানো হয়েছে, সফরের অংশ হিসেবে আকাবা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবোটিক্স এবং STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করবেন। তার বক্তৃতায় তিনি তরুণদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার প্রতি আগ্রহ তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
সফরের মূল লক্ষ্য হিসেবে আকাবা মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় মহাকাশ প্রযুক্তির ভূমিকা তুলে ধরবেন। এটি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া, আকাবা একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে তিনি নাসার মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তিনি বিশেষ করে আর্টেমিস অ্যাকর্ডসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নাসার সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরবেন। আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মহাকাশে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়তা করার জন্য একটি নীতিমালা প্রচার করে, যা দুই দেশের মধ্যে মহাকাশ এবং প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা আরো জোরদার করবে।
জোসেফ এম. আকাবা একাধারে একজন শিক্ষক, হাইড্রোজিওলজিস্ট এবং পিস কর্পসের প্রাক্তন স্বেচ্ছাসেবক। ২০২৩ সালে তিনি নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি তিনটি মহাকাশ মিশনে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রায় ৩০৬ দিন কাটিয়েছেন। মহাকাশের গভীরে অভিযান ও বিভিন্ন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তার অবদান অমুল্য।
এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
Nenhum comentário encontrado