বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে যুক্ত হলো নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়। ২০২৬ সালের এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়ার অসাধারণ সাফল্যে কেবল ক্রীড়াঙ্গন নয়, আনন্দিত গোটা জাতি। এ উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাতে এক লিখিত বিবৃতিতে নারী ফুটবল দলের এই কৃতিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ইউনূস বলেন, “এ অর্জন শুধু নারী ফুটবলের নয়; বরং গোটা জাতির জন্য গর্বের। এটি আমাদের সম্ভাবনা, প্রতিভা ও অদম্য চেতনার একটি অনন্য উদাহরণ।” তিনি আরো জানান, এই বিজয় প্রমাণ করে দিয়েছে—বাংলাদেশের মেয়েরাও বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার সামর্থ্য রাখে।
প্রধান উপদেষ্টার মতে, এই সাফল্য নারী ক্ষমতায়নের পথকে আরও দৃঢ় করবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এসব মেয়েরা আজ যেভাবে নিজেদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করছে, তাতে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মেয়েরা শুধু মাঠে নয়, মনন, সাহস ও পরিশ্রমে আজ বিশ্বের সামনে নিজেদের তুলে ধরেছে। এই সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবে।”
এই ঐতিহাসিক অর্জনের পেছনে যারা পরিশ্রম করেছেন—কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তারা, এবং মেয়েদের পরিবার—তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান অধ্যাপক ইউনূস। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সাফল্যকে ধরে রাখতে সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল দীর্ঘদিন ধরে কাঠিন্য, সীমাবদ্ধতা ও অবহেলার বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। অবশেষে তাদের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবলের কাছে হার মানতে হয়েছে বাস্তবতার সকল বাঁধা।
এই অর্জন শুধুই ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি বিজয় নয়—এটি দেশের নারী উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস ও এগিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট এক বার্তা।
এখন দেশের প্রতিটি ক্রীড়াপ্রেমী, নারী অধিকারকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের একটাই দাবি—এই মেয়েদের পাশে দাঁড়াক পুরো দেশ, এবং আগামী দিনগুলোতে এই বিজয় যেন আরও বড় পরিসরে উদযাপিত হয়।