close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন, দুদকের তদন্ত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়া ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও..

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়া ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। দুদক জানায়, তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, লাক মিয়া ও তার স্ত্রী স্বাভাবিক আয়-বহির্ভূতভাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা থেকে বেশি লেনদেন করেছেন।

প্রথমত, দুদক জানায়, লাক মিয়া নিজের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রকল্প, ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা এবং জোরপূর্বক ভূমি দখলসহ নানা অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করেছেন। এসব অর্থের বেশিরভাগই ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, যা সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাক মিয়ার ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ রয়েছে, যার বৈধ উৎস নেই। তার ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এছাড়া, লাক মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি এবং তার স্বামী এই অর্থের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, লাক মিয়ার অধীনে কর্মরত ১২ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী মো. মহসিন মোল্লার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ১০ হাজার ৩২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তার ১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন চিহ্নিত হয়েছে। তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

তদুপরি, টিপু মুনশির মেয়েরা তানিয়া অনন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির নামে একাধিক ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে, এবং তাদের ব্যাংক লেনদেনের উৎস নিয়েও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا