মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আজ এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো “মুরাদনগর উপজেলা ইমাম-ওলামা ঐক্য পরিষদ”-এর আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভা।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ইসলামি মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া এবং ওলামা সমাজের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য জোরদারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক ইমাম, খতিব, হাফেজ, আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতিমান আধ্যাত্মিক নেতা ও সোনাকান্দার সম্মানিত পীর সাহেব।
তিনি বলেন—
> “আজকের সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও বিভ্রান্তি বেড়ে চলেছে। এমন সময় ওলামা সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের সঠিক শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, তাহলে সমাজে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। একতা আমাদের অস্ত্র, আর এর মাধ্যমেই আমরা নিরাপত্তা ও শান্তি অর্জন করতে পারি।”
তিনি আরও বলেন—
> “যুগ বদলাচ্ছে, প্রযুক্তি এগোচ্ছে, কিন্তু ইসলাম চিরন্তন ও প্রাসঙ্গিক। কেবল মসজিদের ভেতরে নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে ইসলামি আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আলেম সমাজেরই।”
অন্যান্য বক্তাদের মতামত
সভায় উপস্থিত অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বলেন, মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির কোনো স্থান নেই। ইসলামের মৌলিক নীতির আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
তারা বলেন—
> “যদি আমরা একে অপরের পাশে থাকি, তাহলে কোনো বিভেদ বা সংকট আমাদের দমাতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলেই ইসলাম ও সমাজ দুটোই নিরাপদ থাকবে।”
আলোচনা ও মুনাজাতে অংশগ্রহণ
সভায় স্থানীয় আলেম, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ব্যাপক উৎসাহ ও অংশগ্রহণে মিলিত হন।
আলোচনার শেষে দেশের শান্তি, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সামগ্রিক কল্যাণ কামনায় এক বিশেষ মুনাজাত পরিচালিত হয়।
উপসংহার
উপস্থিত অনেকেই জানান, এ ধরনের আয়োজন সমাজে ধর্মীয় সংহতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং আলেম সমাজের মধ্যে ঐক্য গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই আলোচনা সভা মুরাদনগরে ইসলামী মূল্যবোধ ভিত্তিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।