close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মুন্সিগঞ্জে ফে ন সি ডি লস হ গ্রে ফ তা র ৪

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জ শহরের ফলপট্টি থেকে গভীর রাতে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।..

মুন্সিগঞ্জ শহরের ঘুম ভাঙল গভীর রাতের এক চাঞ্চল্যকর অভিযানে। ফলের দোকানের আড়ালে চলছিল মাদক বেচাকেনা। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না—রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ফাঁস হয়ে গেল সবকিছু। শহরের ফলপট্টি এলাকায় ছামেদের ফলের দোকানের সামনে থেকে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হলো ৪ জনকে।

গ্রেফতারকৃতদের নাম—

  • মো. মানিক শেখ (৩২)

  • মো. আমীর হোসেন (৪১)

  • মো. আকবর আলী (৪২)

  • মো. রিপন মিয়া (৪৮)

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন কাচারী এলাকার কাছাকাছি ফলপট্টি চিহ্নিত করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হিসেবে। এরপরই ডিবি পুলিশের একটি টিম মধ্যরাতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন কবীর।

তিনি জানান, “আমরা গোপন তথ্য পেয়েছিলাম যে শহরের ফলপট্টি এলাকায় রাতের বেলা মাদক কেনাবেচা হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা ছামেদের ফলের দোকানের সামনে অবস্থান নেই। অভিযানে গিয়ে তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করি।”

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, ফলের দোকানটি দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। যদিও দিনের বেলায় দোকানটিকে সাধারণ মনে হতো, কিন্তু রাত হলেই সেখানে আসা-যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতো সন্দেহজনকভাবে।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক কেনা, সংরক্ষণ এবং সরবরাহে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে তাদের মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানার জন্য অনুসন্ধান চলছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে বড় পরিসরে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশাসনের এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এর ধারাবাহিকতা চেয়েছেন।

মাদকবিরোধী এই অভিযানটি শুধু একটিমাত্র সফলতা নয়—বরং পুরো শহরের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। মুন্সিগঞ্জে যে মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, তা ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

এই ধরনের অভিযান আরও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকলে মাদক নির্মূলের পথ সুগম হবে বলে আশা করছে সচেতন নাগরিক সমাজ। গোয়েন্দা পুলিশের এমন সময়োচিত উদ্যোগ একদিকে যেমন অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করেছে, তেমনি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথেও এগিয়ে দিয়েছে এক ধাপ।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator