close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মোংলায় দুর্বৃত্তদের গু লি তে বন্দর কর্মচারী গু লি বি দ্ধ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মোংলা বন্দর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বন্দরের ওয়্যারলেস অপারেটর এস. এম. আসিফ নাঈম আহত হন; পুলিশের তদন্ত ও নিরাপত্তা জোরদার, এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।..

মোংলা বন্দর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়্যারলেস অপারেটর এস. এম. আসিফ নাঈম দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘ (সিবিএ) এর এডহক কমিটির সদস্যও বটে। এই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত আসিফ নাঈমের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি বন্দর এলাকায় সিবিএ ভবন থেকে চা খেয়ে ফেরার সময় বন্দরের বিপণী মার্কেটের সামনে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মুখোমুখি হন। তারা হঠাৎই মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসিফের বাম পায়ের রানেআঁ গুলি চালায় এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের এই গুলিবর্ষণ দেখে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে মোংলা বন্দর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মোংলা বন্দর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাম পায়ের উরু থেকে গুলি বের করে নেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় মোংলা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, হামলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে মূল অপরাধীদের দ্রুত ধরার চেষ্টা চলছে।

মোংলা বন্দর এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। বন্দর কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ধরণের হামলা নিন্দনীয় এবং এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি বলে মনে করছেন সবাই।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও শোক প্রকাশ করে আহত কর্মচারীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। তারা পুলিশের সাথে সমন্বয় রেখে ঘটনার তদন্তে সহায়তা করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে মোংলা বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি উচ্চারণ করেছেন। বর্তমানে পুলিশ ও প্রশাসনের অতিরিক্ত মোতায়েন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছে, তবে সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং আদালতে বিচারের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।

মোংলা বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর অঞ্চল হওয়ায় এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরকম পরিস্থিতি বন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

Không có bình luận nào được tìm thấy