বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. সামছুদ্দিন এই রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গৌরীপুরের চরপাড়ার সোহেল মিয়ার চাচা আবুল হাশেমদের সাথে পূর্ব থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। আবুল হাশেম ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে সোহেল মিয়ার বসতবাড়ির পিছনে বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে বাধা দেয় সোহেল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন দা, বল্লম, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চাচা আবুল হাশেমকে হামলা করে।
এসময় আবুল হাশেম নিজেকে বাঁচাতে প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার বসতবাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে সোহেল মিয়াগং প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে আবুল হাশেমকে কিলঘুষি মারতে থাকে।
এসময় আবুল হাসেমের ডাক চিৎকারে নয়ন মিয়ার চাচা কাজিম উদ্দিনসহ অন্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর চড়াও হয় সোহেল।
এসময় সোহেল মিয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে কাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে সোহেল মিয়ার সাথে থাকা অন্যান্যরা কাজিমউদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
গুরুতর আহত কাজিম উদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কাজিম উদ্দিনের ভাতিজা নয়ন মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ গোপনে-প্রকাশ্যে তদন্ত করে এজাহারনামীয় সোহেল মিয়া, সোহেল মিয়ার বাবা আবুল কাসেম, আবুল হাসেম, আব্দুল আজিজ, আশরাফুল ও আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করে।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন বিশ্লেষণ এবং ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সোহেল মিয়াকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। অভিযুক্ত অন্যান্য পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেন