ভূক্তভোগী নাজমুল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (কেবি) একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তারই সহপাঠী অভিযুক্ত বিজয় তাকে অপহরণ করে টাকা দাবি করেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান,গত রবিবার রাতে তার সহপাঠী বিজয় তাকে কেবি কলেজ সংলগ্ন কেওয়াটখালীর একটি মেস থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ থেকে ৮ জন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এমনকি টাকা না দিলে ছুরিকাঘাত করা সহ নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আরও জানান,কৌশলে মেসে বন্ধুদের কাছে থেকে টাকা এনে দেয়ার কথা বলে নির্জন স্থান থেকে পালিয়ে আসি। ঘটনার পরেরদিন সকালে ভূক্তভোগীর বাবা-মা কলেজে উপস্থিত হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ অপহরণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তবে জড়িতরা স্থানীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করে এখনও তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে কেওয়াটখালি এলাকায় কেবি কলেজের আরেক শিক্ষার্থীকে একইভাবে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেছেন নাজমুলসহ অন্য একজন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী।
নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একজন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, স্থানীয়দের সেলটারে কেওয়াটখালি এলাকায় একটি কিশোরী গ্যাং চক্র রয়েছে যাদের কাজ ছাত্রদের ব্লাকমেইলের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এ বিষয়ে নাজমুলের সহপাঠী অভিযুক্ত বিজয়ের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড.মো.আতাউর রহমান জানান,ঘটনাটি জানার পরপরই আমি অভিভাবকদের ডেকে পাঠাই। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যা করার কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।