close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ময়মনসিংহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত জেলা ও মহানগর কমিটি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। স্থানীয় ছাত্র আন্দোলনের একাংশ অভিযোগ তুলেছে, কমিটিতে বহু বিতর্কিত ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলা হয়।
কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ
লিখিত বক্তব্যে সমন্বয়ক জি.কে. ফারুক বলেন, "যারা ছাত্র আন্দোলনের মূল নীতি ধারণ না করে অপকর্মে জড়িত, তাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। বিআরটিসি অফিসে হামলা, আওয়ামী দোসরদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া, চাঁদাবাজি, ডিআইজি অফিসে হামলা, এবং খুনি আসামিকে মুক্ত করতে মধ্যরাতে বিভাগীয় কমিশনারকে সুপারিশ করার মতো অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, যার কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদায়ন করেছেন।"
প্রবীণ নেতাদের উপেক্ষা ও নবীনদের হতাশা
জি.কে. ফারুক জানান, "যারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা এই কমিটিতে উপেক্ষিত। কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে আমরা পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই, কারণ বিতর্কিতদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।"
কীভাবে বিতর্ক শুরু হলো?
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ মহানগর এবং রবিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটির মেয়াদ রাখা হয়েছে ৬ মাস। নবগঠিত জেলা কমিটিতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে আহ্বায়ক এবং আলী হুসেনকে সদস্য সচিব করা হয়। মহানগর কমিটিতে মো. অলিউল্লাকে আহ্বায়ক এবং আল নূর মো. আয়াসকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে কারা জায়গা পেলেন?
জেলা কমিটি:
২৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক।
৩৯ জন যুগ্ম সদস্য সচিব।
১১৫ জন সদস্য।
মহানগর কমিটি:
১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়ক।
১৪ জন যুগ্ম সদস্য সচিব।
১৩৯ জন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে কারা ছিলেন?
জি.কে. ফারুক ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক ফুয়াদ হাসান, আশিকুর রহমান আশিক, এবং ওয়ালিদ আহমেদ অলি। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী আসাদুজ্জামান হৃদয়, আব্দুল আলিম, আজহার শিমুল, তানজিয়া নাজনিন মিতু প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় কমিটি যেন দ্রুত এই বিতর্ক নিরসনে পদক্ষেপ নেয়। "বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে কাজ করা গেলে আন্দোলনের নীতি ও আদর্শ ক্ষতিগ্রস্ত হবে," বলেন জি.কে. ফারুক।
לא נמצאו הערות