ভালুকা (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হয়েছে 'মার্কেট অ্যাক্টরস বিজনেস স্কুল (MABS)'। ৩০ জুন ২০২৫ সোমবার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়াকুড়ি গ্রামে এই ব্যতিক্রমী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (IDA) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (IFAD)-এর যৌথ প্রয়াস।
এই স্কুলটির মূল লক্ষ্য হল স্থানীয় কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আধুনিক ব্যবসা কৌশল, ব্যবস্থাপনা এবং বাজার চাহিদা সম্পর্কিত জ্ঞানের বিস্তার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের উপসচিব আফরোজা বেগম পারুন। সভাপতিত্ব করেন সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা টুসি শাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভালুকা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) হাসতান আব্দুল্লাহ এবং ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন IDA ও IFAD-এর প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, 'পণ্যের নাম: কাঁঠাল' শীর্ষক একটি বিশেষ কর্মসূচির অধীনে এই স্কুলটি পরিচালিত হবে, যা নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। ভালুকা উপজেলা হল রুমে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের পণ্য ও সেবার গুণগত মান উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার কৌশল শিখতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে, এই বিজনেস স্কুল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের আত্মনির্ভরশীল হতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে। স্থানীয় একজন অংশগ্রহণকারী জানান, "আমাদের মতো গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা আশা করি, এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান আমাদের ব্যবসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
এই উদ্যোগের ফলে ভালুকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন আসবে তা স্থানীয় জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই ধরনের উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
		
				
			


















