প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ ক্লাবটির বিরুদ্ধে নিয়মনীতির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ১.০৮ মিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ প্রায় ১৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের নয়টি ম্যাচে নির্ধারিত সময়মতো মাঠে না নামায় এই জরিমানা করা হয়েছে। কখনো ম্যাচ শুরুর সময় পেরিয়ে গেছে, আবার কখনো দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফেরায় হয়েছে দেরি। গত ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ড পর শুরু হয়—যা বিশেষভাবে নজরে আসে কর্তৃপক্ষের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “প্রতিটি ম্যাচ নির্ধারিত সময়মতো শুরু করা শুধু নিয়ম নয়, এটা ক্লাব, সমর্থক ও সম্প্রচার স্বত্বাধিকারীদের প্রতি সম্মানের বহিঃপ্রকাশ। নির্ধারিত সূচি বজায় রাখতে আমরা প্রতিটি ক্লাবের কাছ থেকেই সর্বোচ্চ পেশাদার আচরণ প্রত্যাশা করি।”
ম্যানচেস্টার সিটি ইতোমধ্যে দায় স্বীকার করে নিয়েছে এবং ক্ষমাও চেয়েছে। তবে জরিমানার ক্ষেত্রে ছাড় পায়নি তারা। নির্ধারিত ১৪ দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে শাস্তি আরও বাড়তে পারে—প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞাও।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত মৌসুমেও ম্যাচ শুরুর সময়সূচি লঙ্ঘনের দায়ে ২ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হয়েছিল গার্দিওলার দলকে।
এদিকে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩২ দলের অংশগ্রহণে এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে ফিফা। এই মঞ্চেই ঘুরে দাঁড়াতে চান ক্লাবের সিইও ফেররান সরিয়ানো। তিনি আশাবাদী, এই টুর্নামেন্ট সিটির পুরোনো ছন্দে ফেরার মঞ্চ হয়ে উঠবে।



















