close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মিরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মীদের ওপর হামলা, বিক্ষোভ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন একাধিক নেতা-কর্মী। এনসিপি বলছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রভাবশালী সাবেক নেতা এস আই টুটুল এ ঘটনার ন..

ঢাকা, মঙ্গলবার – রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন। এনসিপির অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুল ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালান।

এ ঘটনায় এনসিপির প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ও শামীম আহমেদ গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এনসিপির দাবি, এই হামলা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে পরিচালিত একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা, যার উদ্দেশ্য ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের দমন করা।

হামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদসহ আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এনসিপি ও সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনের মধ্যে।

হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এনসিপির মিরপুর অঞ্চলের নেতাকর্মীরা। সেখানে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও। সমাবেশে তারা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভে উত্তাল মিরপুর: স্লোগানে মুখরিত রাজপথ

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতারা বলেন, “আমরা রাজনীতি করি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আর আমাদের ওপরই যদি হামলা হয় তবে দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই ধরে নিতে হবে।” বক্তব্যে তারা দাবি করেন, হামলাকারীদের যদি দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে এনসিপি আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

এনসিপি’র তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, এ হামলার মাধ্যমে দলীয় কর্মকাণ্ডে ভয়ভীতি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। হামলার পরপরই রূপনগর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগও প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

অন্যপক্ষের বক্তব্য: ঘটনা কি ভিন্ন কিছু?

ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত এস আই টুটুল এক ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, “সোমবার রাতে আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি ছয়-সাতজন ছেলে একটি মেয়ের সঙ্গে তর্ক করছে। পরে বুঝতে পারি মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দু’জন ছেলের মধ্যে ঝামেলা চলছে। আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিলাম মাত্র।”

তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া হচ্ছে। আমি এমন কিছু করিনি যাতে আমাকে নিয়ে কর্মসূচি দিতে হয়।”

তবে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, টুটুল এই ব্যাখ্যা দিয়ে মূল ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, “হামলাকারীরা মুখ চেনা, দলীয় পরিচয় আছে, এবং এটি কোনো পারিবারিক বা সামাজিক ভুল বোঝাবুঝি নয়—এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক আক্রমণ।”

রাজনীতি না সন্ত্রাস? তদন্ত দাবি জনমনে

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুরের স্থানীয় রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—রাজনীতি যদি সহিংসতায় রূপ নেয়, তবে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোথায়? অনেকেই দাবি করছেন, এই হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি।

এদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, তারা দলীয়ভাবে ঘটনাটি নজরে রেখেছেন এবং প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

তদন্তের দাবি এখন সময়ের অনিবার্যতা।


 

לא נמצאו הערות


News Card Generator