close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করেছে শেখ হাসিনা: হাসনাতের কঠোর বক্তব্য


চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় তীব্র সমালোচনা
চুয়াডাঙ্গা, সোমবার:
মিডনাইট নির্বাচন এবং ডামি ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে 'চুয়াডাঙ্গা রাইজিং' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
হাসনাত বলেন, "শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে চিরতরে মুছে দিতে চায়। তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে এবং তার দোসরদের বিচার করা জরুরি। আমরা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।"
আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে কঠোর বার্তা
সভায় তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজনীতিবিদরা খুনি হাসিনার বিচার নিয়ে নীরব। বরং তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, "আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা চলছে, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে থাকবে কি না। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কথা বলছে না। তারা বরং দলটির রাজনৈতিক কাঠামো ও বাণিজ্যিক স্বার্থ দখল করতে চাইছে।"
'চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে আমাদের আপা'
শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, "আমাদের আপা চুয়াডাঙ্গার সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি ভয় দেখান যে, তিনি হুট করে দেশে ঢুকে পড়বেন। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা এই সীমান্ত থেকেই তাকে প্রতিহত করবে।"
তরুণ প্রজন্মের সমর্থন নিয়ে দৃঢ় বার্তা
তরুণ প্রজন্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মকে কিনতে পারেনি। আর যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার বাদ দিয়ে দলটির পুনর্বাসন চায়, তারা আসলে দালাল। পার্লামেন্টের লোভ দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কেনা যাবে না।"
মিডনাইট নির্বাচনের কঠোর সমালোচনা
হাসনাত আরও বলেন, "গত তিনটি নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারিনি। তবে যারা ভোট দিয়েছে, তারা একেকজন ৩০-৪০টি করে ভোট দিয়েছে। এই মিডনাইট নির্বাচন করে খুনি হাসিনা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।"
সভায় অন্যদের বক্তব্য
সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য নুসরাত তাবাচ্ছুম এবং চুয়াডাঙ্গার জেলা আহ্বায়ক আসলাম অর্ক। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেষ কথা
'চুয়াডাঙ্গা রাইজিং' শিরোনামের এই মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তরুণ প্রজন্মের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক অচলায়তন ভাঙার আহ্বান জানান বক্তারা।
বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনার শাসন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এমন কঠোর বক্তব্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।
Nenhum comentário encontrado