তিনি বলতেন, রোজা হলো একটি ঢাল, যা মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করে। তবে তিনি সতর্ক করতেন যে, রোজা শুধুমাত্র ক্ষুধা ও ক্লান্তি না হয়ে, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইবাদতের দিকে মনোযোগী হওয়ার একটি সময় হওয়া উচিত। রমজানে তিনি বেশি সময় ইবাদত করতেন, বিশেষত তাহাজ্জুদ ও তারাবি নামাজে।
রমজানের প্রথম ২০ রাত এবং শেষ ১০ রাতের ইবাদতের মধ্যে তিনি পার্থক্য করতেন। প্রথম ২০ রাতে তিনি বিশ্রাম নিতেন, তবে শেষ ১০ রাতে তিনি ইবাদতে আরো বেশি মনোযোগী হতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, তিনি শেষ ১০ রাতে ইবাদতে নিবেদিত থাকতেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও জাগিয়ে দিতেন।
রমজানের শেষ দশকে তিনি নিয়মিত ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের উদ্দেশ্য ছিল লাইলাতুল কদরকে তালাশ করা, যা হাজার মাসের চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ রাত। তিনি সাহাবাদের এই রাতের প্রতি গুরুত্ব দিতে উৎসাহিত করতেন।
রমজান হলো এক তীব্র আত্মশুদ্ধির সময়, এবং নবী করিম (সা.)-এর রাত-দিনের আমল আমাদের জন্য এক মহান দৃষ্টান্ত রেখে গেছে।