মহান রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি: জনগণের জন্য সংগ্রাম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বাণী প্রদান করেছে
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বাণী প্রদান করেছেন। তিনি তার বাণীতে শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বদানকারী, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অভিহিত করেন। ফখরুল বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক, যিনি জাতির প্রতিটি সংকটে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা আজও স্মরণীয়। ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, যা ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি জনগণের জন্য নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতার হাল ধরেন। তার শাসনামলে তিনি দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, এবং উৎপাদন, শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করেন। তিনি গ্রামীণ অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেন এবং পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থা চালু করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করেন। ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সাহসী, সততা ও দেশপ্রেমের প্রতীক। তার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও সার্ক গঠনের মাধ্যমে তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।" বিএনপির মহাসচিব শহীদ জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তার আত্মত্যাগে জনগণের মধ্যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এক মজবুত ঐক্য তৈরি হয়েছিল। তার জন্মবার্ষিকীতে আমি দেশবাসীকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।” এদিনে, মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার অবদান ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জনগণের ঐক্যের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator