close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের খোঁজ মিলেছে। শনিবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু নথি পাওয়ার পর জানা গেছে যে, মেজর (অব.) সৈয়দ জিয়া বেঁচে আছেন। গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে তিনি নিজের বিরুদ্ধে চলমান মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন।
এছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও মেজর জিয়া আবেদন করেছেন, যাতে তাকে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি মিথ্যা এবং তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানান, মেজর জিয়া তাকে মেসেঞ্জারে ফোন দিয়ে বলেন যে, তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা মিথ্যা। তিনি বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন যেন তার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়।
আইনজীবী জানান, মেজর জিয়া ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন, তবে তার অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কোথায়, তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের সময় মেজর জিয়াকে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং তাকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মেজর জিয়া দাবি করেছেন, ফ্যাসিবাদ এবং ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে তাকে ষড়যন্ত্র করে একের পর এক জঙ্গি নাটকে ফাঁসানো হয়েছে।
এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন যে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ব্লগার দীপন, অভিজিত্, জুলহাস হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামি মেজর জিয়া, যার মধ্যে তিনটি ফাঁসির দণ্ড রয়েছে। তবে, তার অবস্থান নিয়ে ১৪ বছরেও কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশেষত, জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর, তাকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তবে, ২৫ ডিসেম্বর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে লিখিত আবেদন জমা দিয়ে সেই পুরস্কার প্রত্যাহারের জন্যও তিনি আবেদন করেছেন।
Aucun commentaire trouvé