২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আজ, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর), দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ের পর (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট) কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এই বছর সরকারি ও বেসরকারি উভয় মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রায় ৯ জন (নির্দিষ্টভাবে ৯.৪ জন)। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৭৩ হাজার ৬০৪ জন—যা মেডিকেল শিক্ষায় ছাত্রীদের বর্ধিত আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস ও বিডিএস মিলিয়ে মোট আসন ৫ হাজার ৬৪৫টি। এর মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে আসন ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস কোর্সে ৫৪৫টি। অন্যদিকে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মোট আসন ৭ হাজার ৪০৬টি। সব মিলিয়ে এমবিবিএস কোর্সে মোট আসন ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে মোট আসন ১ হাজার ৯৫০টি।
ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়। পরীক্ষার্থীদের রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কার্ড সাথে নিয়ে স্বচ্ছ ব্যাগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি ও যেকোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেন্দ্রে বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। ১০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকলেও, প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত যেকোনো গুজবে বিভ্রান্ত না হতে মন্ত্রণালয় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।



















