close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাত্র এক ফোনেই থেমে যাবে যুদ্ধ! ইরান-ইসরায়েল সংকটে ট্রাম্পের হাতে বিশ্বশান্তির সুইচ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তেহরান দাউ দাউ করে জ্বলছে, রাস্তায় গর্জন করছে লাখো ইরানির বিক্ষোভ—তবু একটিমাত্র ফোন কলেই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব ভয়াবহ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেই নির্ভর করছে শান্তি না যুদ্ধের ভব..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মাটিতে একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে শান্তির শেষ আশাটুকু। সেই আশার নাম এখন—একটি ফোন কল! ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানির স্পষ্ট বক্তব্য, “একটি ফোনেই থামানো সম্ভব ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন।

২০ জুন শুক্রবার, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন মাজিদ। তিনি বলেন, “ইরান বরাবরই বেসামরিক সংলাপে বিশ্বাস করে—সেটা হোক সরাসরি, কিংবা পরোক্ষভাবে। তবে যুদ্ধ চালু রেখে কোনো আলোচনা এগোবে না।”

মাজিদের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাইলে এখনই ইসরায়েলকে ফোন করে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দিতে পারেন। “আমাদের দরজা বন্ধ নয়, তবে যুদ্ধ চলতে থাকলে আলোচনার পথও বন্ধ থাকবে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে না। তবে কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া সম্ভব, যদি যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের জন্য আন্তরিকতা দেখায়।

এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যেই নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এই প্রসঙ্গে মাজিদ ফারাহানি আবারও হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ায়, তাহলে আমাদের কাছে অনেক অপশন আছে। এবং সব বিকল্পই এখন টেবিলে।” অর্থাৎ, ইরানের পক্ষ থেকে কোনোভাবেই দুর্বলতা বা পিছু হটার ইঙ্গিত নেই।

শুক্রবার সকাল থেকেই ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তাগুলো যেন রণক্ষেত্র। সরকারপন্থী লাখো বিক্ষোভকারী ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী’ স্লোগানে গর্জে উঠেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষজন ইরান, হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে ওড়াচ্ছেন। সেসঙ্গে পুড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা।

সিএনএনের একটি টিম现场 থেকে নিশ্চিত করেছে এই বিক্ষোভের ভয়াবহতা। “ইসরায়েলের মৃত্যু চাই”, “আমেরিকার মৃত্যু চাই”—এমন শত শত কণ্ঠে একত্রে গর্জে উঠেছে পুরো তেহরান।

এক বিক্ষোভকারী নারী সিএনএনকে বলেন,ট্রাম্প, আপনি আমাদের নেতাকে হুমকি দিচ্ছেন? আপনি কি জানেন না, আমরা বিশ্বাস করি মৃত্যু, মধুর চেয়েও মিষ্টি!

বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বে যুদ্ধ-শান্তির ব্যবধান তৈরি হতে পারে। যদি ট্রাম্প ইসরায়েলকে সংযত করেন, তবে আলোচনার পথে ফিরতে পারে ইরান। অন্যথায়, পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়তে পারে আরও বিস্তৃত আকারে—বিশ্বযুদ্ধের নতুন রূপরেখায়।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এখন আর কেবল দুই দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নয়। এই যুদ্ধ ঠেকাতে হলে দরকার একটিমাত্র সাহসী পদক্ষেপ—একটি সিদ্ধান্ত, একটি কল।

कोई टिप्पणी नहीं मिली