close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাত্র ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতের তথ্য পাকিস্তানের কাছে বিক্রি!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মাত্র ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী সংক্রান্ত স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানি এজেন্টকে পাচার করলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। গ্রেফতার সাহদেব সিংয়ের ফোনে মিলল বিস্ফোরক তথ্য, যা ভারতের নিরাপ..

গুজরাট থেকে পাকিস্তানের এজেন্টের কাছে তথ্য পাচার: কীভাবে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় ঝুঁকলো ভারতের নিরাপত্তা?

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গুজরাট রাজ্যের কচ্ছ জেলার এক সাধারণ স্বাস্থ্যকর্মী মাত্র ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই বাহিনী—বিমান বাহিনী (IAF) ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-সংক্রান্ত গোপন ছবি ও ভিডিও পাচার করেছেন পাকিস্তানের হাতে।

গুজরাট অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (ATS) জানায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম সাহদেব সিং গোহিল, বয়স ২৮ বছর। তার বিরুদ্ধে দেশের গোপন তথ্য পাচারের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

যেভাবে শুরু হয় ভয়ানক ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত

২০২৩ সালে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে সাহদেবের পরিচয় ঘটে। তিনি নিজেকে "আদিতি ভরদ্বাজ" নামে পরিচয় দেন এবং ধীরে ধীরে সাহদেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কে সিদ্ধার্থ, গুজরাট ATS-এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আদিতি ভরদ্বাজ নামে ওই নারী আদতে পাকিস্তানের একজন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট ছিলেন, যিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভারতের ভেতর থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন।

এই সম্পর্কের জালে আটকে গিয়ে সাহদেব বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা—বিশেষ করে বিএসএফ ও আইএএফ-এর নবনির্মিত ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোর ছবি ও ভিডিও গোপনে তুলে পাঠাতে শুরু করেন আদিতির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে।

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও তৈরি করেছিলেন নিজেই

২০২৫ সালের শুরুতে সাহদেব তার নিজের আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি নতুন সিম কার্ড কিনে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেন, যা ব্যবহার করা হতো শুধুমাত্র আদিতির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। এই নম্বর দিয়েই স্পর্শকাতর সামরিক ছবি ও ভিডিও পাঠানো হতো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে।

ফরেনসিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এই যোগাযোগের সূত্র, ছবি ও ভিডিও—সবই গেছে পাকিস্তানে থাকা এজেন্টদের হাতে।

মাত্র ৪০ হাজার টাকার লোভে দেশের নিরাপত্তা হুমকিতে

এটিএস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিপজ্জনক কার্যক্রমের বিনিময়ে সাহদেবের হাতে একটি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নগদ ৪০,০০০ টাকা পৌঁছে দেয়। এই সামান্য অর্থের জন্য দেশের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিসর্জন দেওয়ার মতো ভয়ংকর কাজ তিনি করতে পারেন, সেটাই এখন জাতীয় পর্যায়ে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

আরও অন্তত ১০ জন সন্দেহভাজন গ্রেফতার

সাহদেবের গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে আরও অন্তত ১০ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে বিভিন্ন রাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থা। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ইউটিউবার, এক ব্যবসায়ী ও একজন নিরাপত্তাকর্মী। এই ঘটনা ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে।

বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এমন একটি ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রযুক্তির ছদ্মবেশে পাকিস্তানের দুঃসাহস

এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ দেশগুলো ভারতের মতো রাষ্ট্রের ভেতর থেকে তথ্য বের করে নিচ্ছে।

সাহদেব সিং গোহিলের গ্রেফতার হওয়া মানে শুধু একজন ব্যক্তির বিচ্যুতি নয়—এটি গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি ফাঁক উন্মোচন, যা এখনই বন্ধ করা না গেলে সামনে আরও বড় বিপদ আসতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator