বন্যাকালীন সময়ে এবং দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিরলস কাজ করার জন্য ইরাম সরদার এই সম্মাননায় ভূষিত হন। তার মানবিক কর্মকাণ্ড আজ তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
শরীয়তপুরের সন্তান ইরাম সরদার
পিতা কামরুল হাসান রাজিবের সন্তান ইরাম সরদার মূলত শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি British Law-এ LLB অধ্যয়নরত। শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তিনি মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন।
২০২২ সালে তিনি ২২ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন স্বপ্নছোয়া ফাউন্ডেশন, যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ৪২ জন সদস্য এবং ১৪ জন উপদেষ্টার সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।
স্বপ্নছোয়া ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড
স্বপ্নছোয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মানবতার সেবায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:
• দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় ১০ হাজার কোরআন শরীফ বিতরণ,
• প্রায় ২২ জন প্রতিবন্ধীকে নিয়মিত লালন-পালন,
• ৪০০টি পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ,
• ৪০ জন প্রতিবন্ধীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান,
• মাদ্রাসা উন্নয়ন প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান,
• প্রতিদিন ৫০ জন পথশিশুর জন্য ইফতার বিতরণ,
• সখিপুরে ১৫ জন মানুষের ইফতারের আয়োজন,
• ৩০ জন শিক্ষার্থীর ফর্ম পূরণের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান,
• ১৪টি পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে স্বাবলম্বী করে তোলা।
ফাউন্ডেশনটি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
ইরাম সরদার জানান, ভবিষ্যতে স্বপ্নছোয়া ফাউন্ডেশন আরও বড় পরিসরে শিক্ষাখাত, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন, ও দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে সারাদেশে মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায়।
তিনি বলেন,
“মানবতার সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যতদিন প্রাণ আছে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো।”
ইরাম সরদার ও স্বপ্নছোয়া ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দেশের মানবিক কর্মকাণ্ডে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।