মানবতাবাদী সাহিত্যিক এস. এম. শাওয়ান মনির: নিরবে জ্বলতে থাকা এক আলোকবর্তিকা..

ইস্পাহানী ইমরান avatar   
ইস্পাহানী ইমরান
গল্প, উপন্যাস, কবিতা এবং মরমি সংগীত—সব শাখায়ই তার সৃজনশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। কুসংস্কার, হিংসা ও জাগতিক লোভ-লালসার ভীড়েও মনুষ্যত্বের আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন তিনি।..

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার আবদুল্লাহপুর ভাওয়ার ভিটি গ্রামে ১৯৬৩ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া মানবতাবাদী কথাসাহিত্যিক ও কবি এস. এম. শাওয়ান মনির জীবনের হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও সাহিত্যের অঙ্গনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। পিতা হাছান আলী মাতবর এবং মাতা কুলসুম বেগমের দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক মানবতাবাদকে নিজের চিন্তা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছেন।

গল্প, উপন্যাস, কবিতা এবং মরমি সংগীত—সব শাখায়ই তার সৃজনশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। কুসংস্কার, হিংসা ও জাগতিক লোভ-লালসার ভীড়েও মনুষ্যত্বের আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন তিনি। তার সাহিত্যকর্মে বারবার ফুটে উঠেছে মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার গুরুত্ব। শাওয়ান মনির বিশ্বাস করেন, “যে-যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, স্ব-স্ব অবস্থান থেকেই মনুষ্যত্বের কর্তব্য সম্পন্ন করা যায়।”

তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, লেখক সংঘ, শিল্পী সমিতিসহ বহু সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও বিনা পারিশ্রমিকে যুক্ত ছিলেন। তবে বর্তমানে সময়ের অভাবে এসব সংযোগ কিছুটা সীমিত হলেও সৃষ্টিশীলতা থেমে থাকেনি।

একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হিসেবে তিনি লিখছেন এবং নিজ কণ্ঠে পরিবেশন করছেন মরমি গান। পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মানুষকে।

সময়ের প্রেক্ষাপটে যখন সাহিত্য প্রায়ই ব্যবসায়িক ও প্রচারনির্ভর হয়ে উঠছে, তখন এস. এম. শাওয়ান মনির নিরবে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া সত্যিকারের আদর্শিক মননের এক বিরল দৃষ্টান্ত।

Nenhum comentário encontrado