close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাম লার ১১ বছর পর খা লাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু

Akm Kaysarul Alam avatar   
Akm Kaysarul Alam
এ কে এম কায়সারুল আলম,লালমনিরহাট করেসপন্ডেন্টঃ

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শিমুলতলায় সড়কে খুঁটি পুঁতে পাকা রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টের অভিযোগে করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলায় ১০ বছর পর খালাস পেলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫ জন আসামি।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপির ডাকে অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি সকাল থেকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলা মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে কুড়াল, শাবল, কোদাল ও খুন্তি ব্যবহার করে পাকা রাস্তায় খুঁটি পোঁতেন এবং রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে ব্যারিকেড তৈরি করেন। এসময় রাস্তার পিচ উঠিয়ে পাকা রাস্তার দুই পাশের মাটি কাটায় রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টসহ সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগ হয়। ওই অবরোধে নারী নেতাকর্মীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এ ঘটনায় বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০০-৫৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।


খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুলু বলেন, এটি একটি গায়েবি ও ভুয়া মামলা ছিল। আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিল, সেই আন্দোলনকে ব্যাহত করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এসব মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করে। আজ আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

সরকারি কৌঁসুলি কেএম হুমায়ুন রেজা স্বপন জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় মামলাটিকে হয়রানিমূলক দাবি করে সব আসামিকে খালাস দেওয়ার জন্য আদালতে যুক্তি স্থাপন করা হয়। এতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আসামিদের খালাস দেন।

No se encontraron comentarios


News Card Generator