close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মাগুরায় সন্ত্রাশী হামলার শিকার জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ সম্পাদক বাবু মীর..

Md Jihad Ali avatar   
Md Jihad Ali
****

মাগুরায় দাওয়াত খেতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ভিটাসাইর গ্রামে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাদের সামনে ওই নেতার ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই নেতাকে উদ্ধার করে।

হামলার শিকার ওই ব্যক্তির নাম মীর শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু মীর। তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুমার নামাজের পর ভিটাসাইর গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন আওয়ামী লীগের নেতা বাবু মীর। খাবার খেয়ে বের হওয়ার আগমুহূর্তে ওই বাড়ির ভেতরে ঢোকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান কয়েকজন যুবক। এ সময় দৌড়ে বাবু মীর ঘরের মধ্যে ঢুকে রক্ষা পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাঁকে উদ্ধার করতে ওই বাড়িতে যায়। পুলিশ উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলতে গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।

পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে বাবু মীরকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে বাবু মীর জানান, তাঁর ওপর কে বা কারা কী কারণে হামলা করেছে তিনি এ বিষয়ে জানেন না।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভিটাসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই গ্রামের বাসিন্দা যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই দিন হামলা চালান ওই এলাকার তৎকালীন কাউন্সিলর বাবু মীর ও তাঁর লোকজন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যুবদলের ওই নেতাকে কুপিয়ে জখম করার পর তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। হামলার প্রায় এক বছর পর মারা যান যুবদলের ওই নেতা। এলাকাবাসীর দাবি, ওই হামলার প্রতিশোধ নিতেই যুবদলের ওই নেতার স্বজনেরা বাবু মীরের ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।

মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী আজ শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে তিনি আগ্রহ দেখাননি।

মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সূত্রে জানা যায়, হাতে ও পিঠে কয়েক জায়গায় জখম নিয়ে বাবু মীর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি সেখান থেকে চলে যান। সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে জুলাই–আগস্টের একটি মামলায় বাবু মীরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর নামে থাকা দুটি মামলায় সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator