close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মাগুরায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২, অস্ত্র উদ্ধার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Two influential local politicians—one from BNP and one linked to Awami League—were arrested in a midnight military raid in Magura's Shreepur. Multiple firearms and bullets were recovered. What we..

মাগুরার শ্রীপুরে সেনা অভিযানে ধরা পড়লেন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক নেতার ভাই। উদ্ধার হলো রিভলবার, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র। রাজনীতির আড়ালে কীসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা?

 

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়েছে দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা। এদের একজন বিএনপির সাবেক সভাপতি, আর অন্যজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতার ভাই। চাঞ্চল্যকর এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে চায়না তৈরি বিদেশি রিভলবার, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের ভাণ্ডার।

শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের একটি স্পেশাল টিম অভিযান চালায় শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা গ্রামে। এই অভিযানে প্রথমে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান টিটোকে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইউসুফ মোল্লার ছেলে এবং শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক কনকের বড় ভাই। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, টিটোর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও নাশকতার মামলা রয়েছে এবং তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গোপন খবর আসে—পলাতক মিজানুর রহমান টিটো বর্তমানে তার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। সেই সূত্র ধরে যৌথ বাহিনী রাতের আঁধারে তার বাড়িতে হানা দেয়। তল্লাশিতে পাওয়া যায় দুটি বিদেশি রিভলবার, আট রাউন্ড তাজা গুলি এবং বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়—এই অস্ত্রগুলোর পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?

টিটোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে অভিযান চালানো হয় পার্শ্ববর্তী তারাউজিয়াল গ্রামের শরিফুল ইসলাম সাচ্চুর বাড়িতে। সাচ্চু স্থানীয় বিএনপির একজন পরিচিত মুখ। তিনি সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি এবং মৃত রাহেন উদ্দিন মিয়ার ছেলে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি চায়না তৈরি বিদেশি রিভলবার ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি। তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এদের মধ্যে মিজানুর রহমান টিটো দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তার নামে হত্যা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। অপরদিকে, শরিফুল ইসলাম সাচ্চুও স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।

এদিকে, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন—দুই দলের নেতাদের বাড়িতে অস্ত্র পাওয়া সত্যিই ভয়ানক এবং প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনীতির আড়ালে তারা কী করছিলেন?

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রতিপক্ষ দলের নেতাদের কাছ থেকে এক রাতে অস্ত্র উদ্ধার—এটি শুধু আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন নয়, বরং স্থানীয় রাজনীতির গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই দুই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে তারা আরও কিছু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে এবং পরবর্তীতে আরও অভিযান চালানো হতে পারে।

এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনী সময় সামনে রেখে এমন অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

Hiçbir yorum bulunamadı