close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

মায়ের কুপিয়ে শিশুসন্তানকে হত্যা: নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নরসিংদীর রায়পুরায় নিজের তিন বছরের শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন শিরিনা বেগম নামের এক মা। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে গেলেও স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক মাকে আটক করেছে পুলিশ। এই নির্মম ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যে..

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনাসের বাবা ডালিম মিয়া পাঁচ বছর আগে শিরিনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন বছর পর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান তিনি। স্ত্রী শিরিনা সন্তান আনাসকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই শিরিনার মানসিক সমস্যা ছিল বলে জানান স্বজনরা।

শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির নিজ ঘরে আনাসকে কুপিয়ে হত্যা করেন শিরিনা। পাশের কক্ষে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন শিশুর দাদি। হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি আনাসের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।

কী বলছেন স্বজনরা?

নিহত আনাসের দাদা রহম আলী বলেন, "আমার ছেলের বউয়ের মাথায় সমস্যা ছিল। আনাস জন্মের পর থেকেই তাকে প্রায়ই মারধর করত। তাই আমরাই তাকে লালনপালন করতাম। তার মায়ের কাছে বেশি দিতাম না। কিন্তু কাল রাতে নামাজে যাওয়ার আগে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে রেখে গিয়েছিলাম। এসে দেখি এমন মর্মান্তিক ঘটনা।"

কীভাবে ধরা পড়লেন ঘাতক মা?

ঘটনার পর পালিয়ে যান শিরিনা বেগম। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর রোববার সকাল ৯টার দিকে হাসনাবাদ গ্রামের রেললাইনের পাশে বসে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশের বক্তব্য

রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, "খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। শিশুটির মা শিরিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।"

মায়ের মানসিক সমস্যার অভিযোগ

স্বজনদের দাবি, শিরিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো চিকিৎসা চলছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, এমন ভয়ংকর ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্য মায়ের মানসিক অবস্থা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

রিপোর্ট: [আপনার নিউজ পোর্টালের নাম] তারিখ: ২ মার্চ, ২০২৫

No comments found