মাদকের জেরে বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল শুভর: ১৫ দিন পর খুনের রহস্য উদঘাটনে পিবিআই..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
মাদকের জেরে বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল শুভর: ১৫ দিন পর খুনের রহস্য উদঘাটনে পিবিআই

রিপোর্ট হেদী হাসানঃ বন্ধুত্বের মোড় ঘুরল মাদক আর হিংস্রতায়। নরসিংদীর মাধবদীতে মোঃ শুভ মিয়া (২০) নামের এক তরুণ নিজ ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের হাতেই খুন হয়েছেন। ঘটনার ১৫ দিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতার তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহত শুভ মিয়া সদর উপজেলার মাধবদী থানার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ৬ মে সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। পরদিন ৭ মে সকালে খিদিরপুর টেকপাড়া এলাকার জানের মুখ ব্রিজসংলগ্ন একটি ডোবার পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় শুভর বড় ভাই সাহেদ মিয়া ৯ মে নরসিংদী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-১৩/২০২৫)।

মামলার পরপরই ছায়া তদন্তে নামে পিবিআই। প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে সংস্থাটি। ২০ মে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান (২৪) ও কবির হোসেন (২১), এবং ২১ মে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নায়েরগাঁও এলাকা থেকে আহম্মাদ নাঈম (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তে উঠে আসে, নিহত শুভ ও গ্রেফতারকৃত তিনজন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতেন এবং মাদক সেবনে জড়িত ছিলেন। ৬ মে সন্ধ্যায় মাদক সেবনের সময় হাবিব ও শুভর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিব শুভকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে, এতে যোগ দেয় কবির ও নাঈম। পরে একটি পুরনো গরু বাঁধার রশি দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিয়ে দুই দিক থেকে টেনে শুভকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। মরদেহ ডোবায় ফেলে দিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত রশিটি পানিতে ছুড়ে ফেলে।

গ্রেফতারের পর হাবিবের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত শুভর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। মামলার তদন্ত করছেন পিবিআই নরসিংদীর উপ-পরিদর্শক মোঃ আবু সালেক। এখনও পলাতক থাকা আরেকজন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার মাধবদী শেখেরচরের মোল্লাপাড়ার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪), মাধবদী কুড়েরপাড় এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২১) ও নরসিংদী পলাশ উপজেলার কুমারটেকের জালাল মিয়ার ছেলে আহম্মাদ নাঈম (২৪)। 

পিবিআই জানিয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর ও পেশাদার তদন্তের মাধ্যমে তারা হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে সক্ষম হয়েছে। পলাতক অপরাধীকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তৎপরতা চলছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا


News Card Generator