ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটা হয় গোল শূণ্য ড্র দিয়ে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে আল আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সের ভিতরের যাওয়ার পরেই অফসাইডের পতাকা উঁচিয়ে ধরে রেফারি। এর ঠিক তিন মিনিট পর আবারো আক্রমণ চালায় আল আহলি। তবে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইমাম আশুর। তার শট দারুণ ভাবে ঠেকিয়ে গেলে মায়ামি গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। গোল থেকে বঞ্চিত হয় আহলি।
১৫ তম মিনিটে ফ্রি-কিকের দেখা পায় ইন্টার মায়ামি। বরাবরের মতো ফ্রি কিক নেয় লিওনেল মেসি। তবে মেসি মারেন বেশ বাহিরে দিয়েই। দুই দল ভালো আক্রমণ চালালেও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বেশি ছিলো আল আহলির কাছে।
ম্যাচের ৩২তম মিনিটে এক ফাঁকা হেড থেকে গোল হতে চলেছিল আল আহলির। কিন্তু অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মায়ামিকে রক্ষা করেন দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়ায়। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই বিরতিতে যাওয়ার পথে ছিল উভয় দল। তবে বিরতির আগমুহূর্তে নিজেদের ডি-বক্সে ফাউল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেয় মায়ামি।
স্পটকিকে বলের পেছনে দাঁড়ান ট্রেজেগুয়েত। তবে মায়ামির গোলরক্ষককে বিভ্রান্ত করতে পারেননি তিনি। বরং বল সোজা গিয়ে লাগে তার হাতে, যা মায়ামির জন্য স্বস্তির মুহূর্ত এনে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে কেন্দ্র করে আরও গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে মায়ামি। তৈরি করে একাধিক গোলের সুযোগ। ৬৪তম মিনিটে মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক খুব অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের শেষভাগে উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শানালেও গোলরক্ষকরা ছিলেন অনবদ্য। বিশেষ করে শেষদিকে মায়ামির কর্নার থেকে ফাফা পিকোল্টের দুর্দান্ত হেড অনবদ্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন আল আহলির গোলরক্ষক। এরপর আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বলও আটকান তিনি।
শেষপর্যন্ত কেউই গোল করতে না পারায় ০-০ স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ।
উল্লেখ্য, সাত দলের টুর্নামেন্ট থেকে এই প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে ৩২ দলের অংশগ্রহণে। আগে যেখানে কেবল ৭টি মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো এই আসর, এবার সেই চিত্র বদলে দিয়েছে ফিফা।



















