close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
লন্ডনে প্রকাশ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী! পালানোর গুঞ্জনের পর প্রকাশ্যে এলেন আওয়ামী


সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে এবার লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তার অবস্থান নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। তবে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি রাজনৈতিক সভায় প্রকাশ্যে উপস্থিত হয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটান তিনি।
লন্ডনে আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় অংশগ্রহণ
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক কর্মী সভায় অংশ নেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ইস্ট লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি বক্তব্যও দেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে লিফলেট বিতরণ করেন।
গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যাওয়া নেতাদের তালিকায় ছিলেন?
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বহু নেতা, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছিল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে এতদিন প্রকাশ্যে না আসায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এবার সরাসরি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভায় তার উপস্থিতি সেই গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করল।
অনুষ্ঠানে আর কারা ছিলেন?
এ সভায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা। যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান জানান, কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন—
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান
এর আগেও লন্ডনে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের
এই প্রথম নয়, এর আগেও লন্ডনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন—
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান
সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার
তারা সবাই শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা লন্ডনে অবস্থান করলেও তারা আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তারা নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের এই নেতারা প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশি রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে— তারা আদৌ দেশে ফিরবেন কি না, নাকি লন্ডন থেকেই রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন?
👉 আপনার মতামত কী? আওয়ামী লীগের এই সাবেক নেতারা কি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন? মতামত দিন কমেন্টে!
Tidak ada komentar yang ditemukan