close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

লন্ডনে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গত বছর ক্ষমতা হারানোর পর প্রথমবার একসঙ্গে ধরা দিলেন আওয়ামী লীগের চার সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। লন্ডনের এক বিয়েতে দেখা গেল তাদের জমকালো উপস্থিতি—যা নিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষ..

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চার সাবেক প্রভাবশালী নেতা।

রোববার স্থানীয় সময় ওটু এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজন করা হয় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের ছেলে ফাইয়াজ রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠান। এই বিয়েতেই উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনার সরকারে দায়িত্ব পালনকারী অন্তত চার সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

যারা এসেছিলেন—

  • আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

  • সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান

  • সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

  • সাবেক প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী

এছাড়া সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব-কেও অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

এই বিয়ের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট ‘গণ-অভ্যুত্থানে’ ক্ষমতাচ্যুত হওয়া হাসিনা সরকারের এই চার সাবেক মন্ত্রীকে প্রথমবার একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেল। আগেও তারা কেউ কেউ লন্ডনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, তবে এবার প্রথম একসঙ্গে হাজির হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জনের ঝড় উঠেছে।

ক্ষমতা হারিয়ে প্রবাসে বিলাসী জীবন?
অনেকের ধারণা, তারা বর্তমানে লন্ডনে নিরাপদ জীবন যাপন করছেন। হাসান মাহমুদের ‘বেলজিয়ামে থাকা’ নিয়ে যে গুঞ্জন ছিল, তা এবার ভুল প্রমাণ হলো। জানা গেছে, তিনি ঈদের সময় লন্ডনে পড়তে থাকা ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতেই আসেন।

কেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা?
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই জমকালো উপস্থিতি ভালোভাবে নেয়া হয়নি। একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী হয়রানি আর হামলার শিকার হচ্ছেন, আর এরা বিদেশে এসে জাঁকজমক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন—এটা দেখে লজ্জা লাগে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্য যুবলীগের এক নেতা বলেন, “দলে বিপর্যয় নেমে এসেছে, অথচ তারা বিদেশে আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন—এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”

রাজনীতিতে নতুন বার্তা?
এই বিয়ের অনুষ্ঠানে সাবেক নেতাদের একসঙ্গে উপস্থিতি কি নিছক সামাজিকতা, নাকি বিদেশে নতুন কোনো রাজনৈতিক সমন্বয়ের ইঙ্গিত?—এমন প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا