close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা এবং এই ক্লিনিকের খ্যাতি নিয়ে দেশ-বিদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
লন্ডন ক্লিনিকটি বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বহু খ্যাতিমান ব্যক্তি। ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ক্যাথরিন, রাজা তৃতীয় চার্লস, এবং প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপসহ আরও অনেকে এই ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই হাসপাতালটি মূলত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, উচ্চমানের যন্ত্রপাতি, এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ রোগী বহির্বিভাগে সেবা নেন। ক্লিনিকটির বিশেষত্ব হল লিভার প্রতিস্থাপন, স্টেম সেল থেরাপি এবং সেলুলার থেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে দক্ষতা।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। তার লিভার প্রতিস্থাপন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এ কারণেই তাকে লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উঠে এসেছে। বিশেষ করে তার লন্ডনে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার খবর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স: আধুনিক চিকিৎসার এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন
বেগম জিয়ার লন্ডনে যাত্রার জন্য ব্যবহৃত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে আলাদা করে জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মূলত একটি চলমান হাসপাতালের মতো, যেখানে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, এবং কার্ডিয়াক মনিটরের মতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকে। এটি সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্র, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুতর রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যবহৃত হয়।
এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রাথমিকভাবে চালু হয়েছিল এবং এরপর এটি আরও আধুনিক রূপ লাভ করে। বর্তমানে ধনী ব্যক্তিরা এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায়শই দূরবর্তী স্থানে রোগী পরিবহনের জন্য এটি ব্যবহার করেন।
কাতারের ভূমিকাও আলোচনায়
কাতারের আমিরের বিশেষ উদ্যোগে বেগম জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ঘটনাটি কাতারকে একটি মানবিক কূটনৈতিক ভূমিকার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে। এর পাশাপাশি, কাতার তার বিশ্বমানের শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ, মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সাফল্য এবং বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এবং এটি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
No comments found