close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

লক্ষ্মীপুরে নিম্নচাপের প্রভাবে অর্ধশতাধিক গ্রাম জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ধর্মের মুখোশ পরে ভয়ংকর নরপিশাচের রূপ নিলেন কর্ণাটকের রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত। ১৭ বছরের এক সংখ্যালঘু কিশোরীকে অপহরণ করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন লোকেশ্বর মহারাজ।..

ভারতের কর্ণাটকে ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যা প্রশ্ন তুলেছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও নৈতিকতা নিয়ে। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত লোকেশ্বর মহারাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭ বছর বয়সী এক সংখ্যালঘু কিশোরীকে অপহরণ ও একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে।

বেলগাঁও জেলার রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে লোকেশ্বর মহারাজ দীর্ঘদিন ধরে পূজা-অর্চনার দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তার আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর অপরাধী সত্তা। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটিকে ‘বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার’ মিথ্যা অজুহাতে গাড়িতে তোলে সে।

১৩ মে মেয়েটিকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাইচুরে, যেখানে দু’দিন ধরে চলে নির্যাতন। এরপর ১৫ মে বাগালকোটে নিয়ে গিয়ে ফের যৌন নির্যাতন করা হয়। সর্বশেষ ১৭ মে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হয় মহালিঙ্গপুর বাস স্ট্যান্ডে।


অভিযোগ দায়ের ও মামলা স্থানান্তর

ধর্ষণের শিকার কিশোরী এরপর ঘটনাটি পরিবারের কাছে জানায়। বাবা-মা তৎক্ষণাৎ নবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে বাগালকোট জেলার থানায় মামলা হলেও পরে স্থানান্তরিত হয় বেলগাঁও জেলার মুদালাগি থানায়।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (Protection of Children from Sexual Offences Act) মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ, এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

বেলগাঁও জেলার পুলিশ সুপার ভীমাশঙ্কর এস গুলেদ জানান, “পুরোহিত মেয়েটিকে বাড়ি নামিয়ে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তোলে এবং ধারাবাহিকভাবে যৌন নির্যাতন চালায়। অপরাধ প্রমাণের মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।”


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যে মানুষ ধর্মের নাম করে পূজা করান, সমাজকে নৈতিকতার শিক্ষা দেন — তিনিই যদি এমন পাশবিক অপরাধে যুক্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা কোথায়?

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হলো, শুধু পরিচয় বা পোশাক দেখে কারও চরিত্র নির্ধারণ করা যায় না। সমাজে ধর্মের নামে যারা সম্মান পান, তাদেরও কঠোর নজরদারির আওতায় আনা জরুরি।


চলছে তদন্ত, আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল ফোন, গাড়ি এবং অন্যান্য প্রমাণ জব্দ করা হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে এবং জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠে আসতে পারে। এর আগে এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


 

এই ঘটনা শুধু একটি ভয়ংকর অপরাধ নয়, এটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সেসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর এক গভীর আঘাত। সমাজ যখন নিরাপত্তার আশায় ধর্মের ছায়া খোঁজে, তখন সেই ছায়া যদি শকুনে ভরে যায় — তাহলে আমাদের সজাগ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, ভবিষ্যতে এমন অপরাধে উৎসাহ পাবে আরও অনেক নরপিশাচ।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator