close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

লক্ষ্মীপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লক্ষ্মীপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে মামুনকে ঢাকার চকবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পারিবারিক কলহের জেরে ঘটেছিল মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড।..

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের জন্মদাতা পিতাকেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। নিহত ব্যক্তির নাম হজরত আলী গাজী (৭৫), যিনি গত ১১ জুন সকালে নিজ বাড়ির পাশের রাস্তার রশিদ সর্দার ব্রিজ এলাকায় ছেলের হাতে প্রাণ হারান।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, হজরত আলী গাজীকে তাঁরই ছেলে মো. মামুন (৩৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। পারিবারিক কলহ ও দীর্ঘদিনের পারস্পরিক দ্বন্দ্বই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। ঘটনার সময় হজরত আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে নুর হোসেন গাজী ১২ জুন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে মামুনকে প্রধান ও একমাত্র আসামি করা হয়।

ঘটনার পরপরই মামুন পালিয়ে যান এবং গা ঢাকা দেন ঢাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অবস্থান শনাক্তে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালাতে থাকে। অবশেষে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) একটি দল রবিবার রাতে ঢাকার চকবাজারের ঢাকেশ্বরী রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-১১–এর নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, ‘‘মামুন তাঁর বাবাকে হত্যার মামলার একমাত্র আসামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা তাঁর অবস্থান শনাক্ত করি এবং সফলভাবে গ্রেপ্তার করি।’’

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, মামুনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ মে তিনি মাদক আইনে দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর জামিনে মুক্তি পান ৪ জুন। মাত্র এক সপ্তাহ পরই ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা — নিজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে সে।

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া আরও জানান, আজ সোমবার সকালে মামুনকে র‍্যাবের কাছ থেকে গ্রহণ করে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকা এখন শোকাহত ও স্তম্ভিত। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, ‘‘মামুন ছিল স্বভাবচরিত্রে খিটখিটে ও রাগী। বাবার সাথে তার বনিবনা হতো না বহুদিন ধরেই। তবে এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটাবে— কে ভেবেছিল!’’

এখন এলাকাবাসীর একটাই দাবি— ঘাতক ছেলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।

Không có bình luận nào được tìm thấy